ওবায়দুল কাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুলকে
‘ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে লোক সমাগম কম হয়েছে’- এমন মন্তব্য করার পর পাল্টা জবাবে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বক্তব্য-কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েন ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফখরুল সাহেব রংপুর থেকে দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের চেয়ার গুনেছেন। ২২ হাজার নয়, ৭০ হাজার চেয়ার ছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করলাম। মির্জা ফখরুলের অন্তরে অনেক জ্বালা। মির্জা ফখরুলকে বলতে চাই, আমরা ঐক্যবদ্ধ ১৪ দল। যারা গত ১৩ বছরে ১৩ মিনিট আন্দোলন করতে পারেনি, তারা এখন কী আন্দোলন করবে? তাদের আন্দোলনের স্বপ্ন কর্পূরের মত উবে যাবে।
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দেখার মতো একটা মিছিলও করতে পারেনি। বিএনপি গত ১৩ বছরে ১৩ মিনিটও আন্দোলন করেনি। এখন নাকি তারা আন্দোলন করবে। তাদের এই স্বপ্ন কর্পূরের মতো উবে যাবে। এখন ফখরুল সাহেব আন্দোলন করতে চান। এই আন্দোলনের নাটাই কোথায় আমরা জানি। ১০ ডিসেম্বর সরকার পতন করে ক্ষমতায় যাবেন, এই স্বপ্ন খোয়াবে পরিণত হবে।’
বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাতে হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সব শক্তিকে একত্রিত করে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে হবে। শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে আমরা পরাজিত হতে পারি না।
দুর্নীতির বরপুত্র হাওয়া ভবনের যুবরাজকে ১০ ডিসেম্বর দেশে ফিরিয়ে এনে বিএনপি নাকি ক্ষমতায় বসবে, বিএনপি নেতাদের এমন অবাস্তব বক্তব্য- বলেছেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা বিএনপির রঙিন খোয়াব ছাড়া আর কিছু নয়।
মুক্তিযুদ্ধ আজ হুমকির মুখে, স্বাধীনতার সব শক্তিকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি একত্রিত থাকলে বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ সহিদুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেন, বাসদের আহবায়ক রেজাউর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।